নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেলানীর ভাই বিজিবিতে চাকরি পেলেন

বৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) চাকরি পেয়েছেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম।
১৫ বছর বয়সে নির্মমভাবে নিহত ফেলানীর হত্যাকাণ্ড দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। দীর্ঘ দিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই করে আসছে ফেলানীর পরিবার। আজকের দিনটি তাদের জন্য বেদনার মাঝেও এক নতুন আশা বয়ে এনেছে।
ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান, তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানীর হত্যার পর প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই তার ইচ্ছে হয়েছিল বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। তিনি বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান দেশের সেবায় কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম স্মৃতিচারণে বলেন, “ভারত ফেরার পথে আমার ছোট মেয়ে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিল বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারি না। তবে দেশবাসী এবং বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে ছিল। তারা আমাদের সহায়তা করেছে। আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।”
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “বিজিবি সবসময় ফেলানীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তার ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করবে। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণের পর তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “ফেলানীর হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে, এজন্য বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সজাগ রয়েছে।”
১১৫ বার পড়া হয়েছে