সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলায় অস্ত্র সংগ্রহ করছে ডেনমার্ক

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:২৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ডেনমার্ক।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো ডেনমার্ক দূরপাল্লার ও উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্র সংগ্রহ করতে যাচ্ছে, যা রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধে ব্যবহার করা হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রেডেরিকসেন বলেন, “আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে এমন সক্ষমতা দিতে চাই, যা দিয়ে তারা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে এবং শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে।” তিনি একে ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা নীতিতে “একটি মৌলিক পরিবর্তন” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সম্প্রতি রাশিয়ার ড্রোন রোমানিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশের পর থেকেই ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই ডেনমার্ক এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোলস লুন্ড পউলসেন জানিয়েছেন, সরকার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চায়, তবে ঠিক কোন ধরনের অস্ত্র কেনা হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে, গত সপ্তাহে ডেনমার্ক ইউরোপীয় তৈরি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই চুক্তির মূল্য ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডেনিশ ক্রোন বা প্রায় ৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারিতেও দেশটি সামরিক খাতে ৫০ বিলিয়ন ক্রোন (৭.৯ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছিল—যা গত কয়েক দশকের সামরিক বাজেট কমানোর ধারার বিপরীতে এক নাটকীয় পদক্ষেপ।

তবে, নতুন দূরপাল্লার অস্ত্র কিনতে ঠিক কত ব্যয় হবে, তা এখনো নির্ধারণ হয়নি।

রাশিয়ার হুমকির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন। সম্প্রতি ডেনমার্কে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করা হয়, কারণ একটি ড্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তিন মার্কিন নাগরিক গোপনে গ্রিনল্যান্ডের জনগণের মতামত ডেনমার্কের বিপক্ষে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফ্রেডেরিকসেন বলেন, “ডেনমার্কের রাজ্য ও গ্রিনল্যান্ডের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেনি।

এদিকে ইউক্রেনও পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় বড় একটি প্যাকেজ পেতে যাচ্ছে। ন্যাটোর "প্রায়োরিটি ইউক্রেন রিকোয়ারমেন্টস লিস্ট (পিইউআরএল)" উদ্যোগের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অস্ত্র ও প্রযুক্তি ইউক্রেনে পাঠানো হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অক্টোবরের মধ্যে তারা এই উদ্যোগ থেকে প্রায় ৩.৫ থেকে ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা পাবে। এর মধ্যে পশ্চিমা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই থাকবে অগ্রাধিকার তালিকায়।

বর্তমানে দক্ষিণ ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনে জাপোরিঝঝিয়া, মিকোলাইভ এবং খারকিভ অঞ্চলে একাধিক প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

জেলেনস্কির মতে, সেপ্টেম্বর মাসেই রাশিয়া ইউক্রেনে ৩,৫০০-র বেশি ড্রোন এবং প্রায় ১৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “রাশিয়া এত বেশি জনবল হারিয়েছে যে এখন বড় ধরনের আক্রমণের সক্ষমতা তাদের নেই।”

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন