মাদক পাচারের তালিকায় ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশ: ট্রাম্প প্রশাসন

বৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৩টি দেশকে বিশ্বের প্রধান মাদক উৎপাদন ও পাচারকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া এক প্রেসিডেন্সিয়াল ডিটারমিনেশন প্রতিবেদনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চীন, কলোম্বিয়া, মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, এবং বাহামাসসহ মোট ২৩টি দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এসব দেশ ভৌগোলিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মাদক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
তবে তালিকাভুক্ত হওয়া মানেই যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা করছে না—তা নয় বলে স্পষ্ট করেছে মার্কিন প্রশাসন। বরং বেশ কিছু দেশ মাদক নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় উদ্যোগ নিচ্ছে।
তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, বলিভিয়া, মিয়ানমার, কলোম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলাকে ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ’ দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী চুক্তি কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মাদকের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি।
চীনের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “চীন হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রিকার্সার কেমিক্যাল সরবরাহকারী, যা অবৈধ ফেন্টানাইল উৎপাদনকে উৎসাহ দিচ্ছে।” এছাড়া নিতাজিনস ও মেথঅ্যামফেটামিনসহ বিভিন্ন সিনথেটিক মাদক উৎপাদনেও চীনের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “তালেবান নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাস্তবতা হলো, মাদকের উৎপাদন এবং মজুত এখনো অব্যাহত রয়েছে—বিশেষ করে মেথঅ্যামফেটামিন উৎপাদনের হার বেড়েছে, যা সন্ত্রাস ও আন্তর্জাতিক অপরাধের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।”
ট্রাম্প প্রশাসন আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক, বিশেষ করে ফেন্টানাইলের ছড়িয়ে পড়া একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী আমেরিকানদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মরণ মাদক।
১১৫ বার পড়া হয়েছে