সর্বশেষ

সারাদেশ

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি নিক্সন চৌধুরী

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাদুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও বহুজনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি হিসেবে রয়েছেন হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন মিয়া।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম।

পুলিশের দাবি, ওই হামলা ও ভাঙচুরে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা আরেক মামলায় আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পটভূমি: আসন পুনর্বিন্যাস ঘিরে উত্তেজনা
৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ঘোষণা আসে—ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্গত আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে নগরকান্দা-সালথা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়।

এরপর ৫ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসী ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে। ইউএনওর আশ্বাসে আন্দোলন তিন দিনের জন্য স্থগিত হলেও, পরে ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে অবরোধ ও বিক্ষোভ চলতে থাকে। গত রোববার রেলপথও অবরোধ করা হয়, যার ফলে ভাঙ্গা ও রাজবাড়ীর তিনটি ট্রেন আটকে পড়ে এবং যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

সহিংসতার ঘটনা ও মামলার বিস্তার
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অবরোধ চলাকালে ভাঙ্গা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্স, হাইওয়ে থানা ও একাধিক সরকারি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর পরদিনই এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।

রোববারই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেন। ওই দিনই আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা হয়। পরে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আন্দোলনকারী বলেন, তাদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলেই কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

প্রশাসনের অবস্থান
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা জানান, ভাঙ্গা উপজেলা কমপ্লেক্সে সহিংস ঘটনার বিষয়েও আলাদা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন