নেপালে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জনরোষ

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঘটনার পর বাংলাদেশের নেটিজেনদের একটি বড় অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় নেপালিদের এই প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানান।
অনেকেই মনে করছেন, রিপাবলিক বাংলা বরাবরই বাংলাদেশ নিয়ে বিকৃত তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট করে আসছে, যার বিরুদ্ধেও এমন প্রতিবাদ হওয়া উচিত ছিল।
বিশেষ করে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিতর্কিত। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে চ্যানেলটি নানা অভিযোগের মুখে পড়ে— যেমন মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো, এবং বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে কটাক্ষ করে ‘মলম বিক্রেতা’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
'গোদি মিডিয়া' হিসেবে তিরস্কার
নেপালের সাধারণ নাগরিকদের অনেকে রিপাবলিক বাংলাকে "গোদি মিডিয়া" (সরকারঘেঁষা ও পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদমাধ্যম) আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, এমন সাংবাদিকতা দেশের মর্যাদার জন্য হুমকি এবং প্রতিবেশীদের প্রতি অবমাননাকর। অনেকে একে জাতীয় আত্মমর্যাদার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন।
প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতার নৈতিকতা
এই ঘটনা কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি বৃহত্তর একটি বাস্তবতার ইঙ্গিত দেয়— গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। যখন সংবাদকর্মীরা উসকানিমূলক ও পক্ষপাতদুষ্ট উপায়ে কাজ করেন, তখন তা শুধু সমালোচনারই জন্ম দেয় না, বরং প্রতিবাদ ও জনরোষের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিককে ঘিরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি তাই আঞ্চলিক সাংবাদিকতার নৈতিকতা, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান এবং ভুয়া তথ্য ছড়ানোর পরিণতি নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে