সর্বশেষ

প্রবাস

টরন্টোতে বাংলাদেশের সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে সেমিনার

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:২১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
টরন্টোর এগলিনটন স্কোয়ার পাবলিক লাইব্রেরীর মিলনায়তনে সম্প্রতি “বাংলাদেশের সংস্কার: বাস্তবায়ন ও জনজীবনে দক্ষ প্রয়োগ” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়,

যা আয়োজন করেছিল কানাডিয়ান সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (সিসিবিএস)। সেমিনারে বাংলাদেশের সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন ও সকল স্তরে প্রভাবশালী প্রয়োগ কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে, সেই বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়।


প্রধান বক্তারা ও নেতৃত্ব
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. আহমেদ শফিকুল হক।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিবিএসের পরিচালক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মিয়া।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, যিনি ঢাকার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আলোচ্য বিষয়বস্তু ও মত প্রকাশ
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান তার প্রবন্ধে বলেন,

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক প্রধান দাবি ছিল কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে মুক্তি, সুষ্ঠু নির্বাচন, এবং সমাজে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি।
যদিও সাংবিধানিক ও নির্বাচনী সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, স্থানীয় সরকার, পুলিশ, প্রশাসন ও নারী বিষয়ক সংস্কার যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে না, যা আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
অন্য প্রধান বক্তা ড. আহমেদ শফিকুল হক বলেন,

“বাংলাদেশে সংস্কার বাস্তবায়নে বড় বাধা হচ্ছে ‘হার্ডওয়্যার’ ও ‘সফটওয়্যার’-এর মধ্যে অসামঞ্জস্য। আইন, সংসদ, বিভিন্ন কমিশন—এই সব কাঠামো আছে, কিন্তু যারা এগুলো পরিচালনা করছেন, তাদের মানবসম্পদ বা সফটওয়্যার দক্ষতা অপর্যাপ্ত।”
তিনি আরও বললেন,
“অনেকে শুধু পে কমিশন বা সামান্য সুপারিশ দ্রুত বাস্তবে দেখেন, কিন্তু অপরিহার্য সংস্কার বছরের পর বছর শুধু কাগজে-কলমে পড়ে থাকে।”

অন্যান্য বক্তাদের মতামত ও সুপারিশসমূহ
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন:

জাতীয় ঐক্যমত্য গঠন
শ্রমিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো
তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
সংসদীয় জবাবদিহিতা বাড়িয়ে তোলা
সুশাসন ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার গুরুত্ব

শেষ মন্তব্য ও চ্যালেঞ্জ
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্লেষকগণ, গবেষক এবং সামাজিক অধিকার আন্দোলনের সক্রিয়রা। হোস্ট প্যানেল ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রোগ্রামের শেষে সভাপতি ড. আহমেদ শফিকুল হক সমাপনী বক্তব্যে বললেন,

“বাংলাদেশে আইন-কানুন ও প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাস্তব প্রয়োগে বড় ফাঁক রয়ে গেছে। সংস্কার সফল হবে—যখন আইন শুধু থাকবে না, কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে, প্রশাসন থেকে শুরু করে নিম্নস্তর পর্যন্ত দক্ষ হোন সবাই।”

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
প্রবাস নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন