আখাউড়ায় অবৈধ লেভেল ক্রসিং ঘিরে উত্তেজনা, ট্রেন আটকালো স্থানীয়রা

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে গিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন স্থানীয়রা।
তাদের প্রতিবাদের মুখে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী এবং ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ১৫ মিনিট আটকে থাকে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দীঘিরজান এলাকায়।
মৃত্যুর পর উদ্যোগ, কিন্তু ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী
জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর ওই অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বৃষ্টির মধ্যে ট্রেন দেখতে না পেয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় বিজয় এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় পপি আক্তার (২৩) ও অটোরিকশাচালক সাদিক মিয়া (৩৭) নিহত হন।
এর পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই অবৈধ লেভেল ক্রসিংটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়। তবে বুধবার সকালে কাজ শুরু করতেই স্থানীয়রা বাঁশ, লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতা রেললাইন অবরোধ করে দেয়, ফলে মহানগর প্রভাতী ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি আটকে পড়ে।
যাত্রীরা আতঙ্কে, পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ
চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রী সুরাইয়া বেগম (৪৫) বলেন,
“হঠাৎ ট্রেন থেমে যায়। বাইরে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল হামলা হতে পারে।”
নরসিংদী থেকে আগত যাত্রী শফিউল আলম (২২) বলেন,
“পরিবার নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়ে এমন ঘটনায় আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই।”
পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন, এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেল পুলিশের ভাষ্য ও স্থানীয়দের অভিযোগ
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন,
“দীঘিরজানের লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ। তাই তা বন্ধ করতে গেলে কিছু উত্তেজনা তৈরি হয়। এখন আলোচনা চলছে।”
অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি,
“এই রেলক্রসিংটি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দিলে চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি হবে। কোনো বিকল্প পথ না রেখে রাস্তাটি বন্ধ করা হলে আমরা মেনে নেব না।”
১১০ বার পড়া হয়েছে