কর্মসংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ নয়: অর্থ উপদেষ্টা

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশে বেকারত্বের হার এখনো 'ভয়াবহ' পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তবে তিনি স্বীকার করেন, কর্মসংস্থান বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ, এবং এর সমাধান মূলত বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “কর্মসংস্থান বেসরকারি খাতেই হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে যদি মন্থরতা আসে, তার প্রভাব সরাসরি কর্মসংস্থানে পড়ে। তবে ইতোমধ্যে ব্যবসার গতি কিছুটা উন্নত হয়েছে। আমরা বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছি।”
বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়েও জানান সালেহউদ্দিন। এর মধ্যে রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন, এলএনজি আমদানি, এবং সার আমদানির অনুমোদন।
তিনি বলেন, “উৎপাদন যতই হোক, বিতরণব্যবস্থার সমস্যার কারণে অনেক সময় সেবার মান ঠিক থাকে না। তাই নতুন উপকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যত বেশি আমদানি করব, সরবরাহ বাড়বে, তখন মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়লেও মান ভালো হওয়ায় সেটি গ্রহণযোগ্য বলে জানান তিনি। বলেন, “আমরা গম আমদানির বিষয় বলেছি, এতে দাম কিছুটা বেশি পড়লেও মান ভালো। কিছুটা খরচ বাড়লেও আমরা ট্যারিফ এড়াতে চাই এবং ঘাটতি কমাতে চাই।”
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি জানান, হবিগঞ্জে একটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেখানে রাস্তা প্রশস্তকরণসহ কিছু উন্নয়ন কাজ হবে। “এ ধরনের প্রকল্পে সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়,” বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট খাতেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়। সেদিকে নজর দিয়েই এগোচ্ছি।”
এলএনজি আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা আন্তর্জাতিক বাজার যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিই। কে সাবেক রাষ্ট্রদূত, সেটা বিবেচ্য নয়।”
সম্প্রতি সার আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা নিয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আমরা কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব, কারণ মূল দায়িত্ব তাদের।”
বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ক্রয় কমিটিতে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আলোচনা হয় না। কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়।”
১১৪ বার পড়া হয়েছে