সর্বশেষ

জাতীয়

ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি : ১২ দফা নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:২৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে দেশের সব মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোকে ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়। আদেশটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষর করেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। গতকালও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়েছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে:

১. জরুরি এনএসওয়ান পরীক্ষা: সন্দেহভাজন ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এনএসওয়ান পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কিটের ঘাটতি থাকলে সিএমএসডি অথবা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
২. পরীক্ষার সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা: ভর্তি রোগীদের জন্য হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে।
৩. চিকিৎসা উপকরণ নিশ্চিতকরণ: ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে হবে।
৪. আলাদা ওয়ার্ড: ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড বা কক্ষে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. বিশেষজ্ঞ বোর্ড গঠন: মেডিসিন, শিশু ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে, যারা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের তত্ত্বাবধান করবেন। তাদের অধীনে চিকিৎসক ও প্রশিক্ষণার্থী দল গঠন করতে হবে।
৬. বহির্বিভাগে আলাদা সেবা: বহির্বিভাগে আসা ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য আলাদা চিকিৎসা বুথ ও বিশেষজ্ঞ দল রাখতে হবে।
৭. আইসিইউ অগ্রাধিকার: ডেঙ্গু রোগীর জন্য প্রয়োজনে আইসিইউ সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে হবে।
৮. তথ্য ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংরক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর দায়িত্ব একজন নার্সকে দিতে হবে।
৯. মৃত্যুর রিপোর্টিং: কোনো ডেঙ্গু রোগী মারা গেলে, ৬ ঘণ্টার মধ্যে সংক্ষিপ্ত ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
১০. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: হাসপাতাল এলাকায় নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
১১. সাপ্তাহিক সমন্বয় সভা: প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালের পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়কের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু বিষয়ক সমন্বয় সভা আয়োজন করতে হবে।
১২. জেলা হাসপাতালের প্রস্তুতি: অন্যান্য জেলা হাসপাতালগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে।

 

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৫২৭ জন ছাড়িয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সময়মতো রোগ শনাক্ত, উন্নত চিকিৎসা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন