সর্বশেষ

জাতীয়

নির্বাচনের আগে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স বা ফেরতের অনুমতি নেই

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:১১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নতুন কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কেনা বা লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ এখন আর নেই।

পাশাপাশি, ইতিমধ্যে জমা দেওয়া বৈধ অস্ত্র ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দাবিতে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব আবেদন অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে মোট ১৩ হাজার ৩৪০টি অস্ত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে মাত্র তিন হাজার অস্ত্রই ফেরত দেওয়া হয়েছে, বাকি অস্ত্র ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো স্থগিত রয়েছে। নির্বাচনের সময় সামনে রেখে এবার আর নতুন করে জমা দেওয়া অস্ত্র গ্রহণ বা ফেরত দেওয়া হবে না। বরং নির্বাচনের আগে ফেরত দেওয়া অস্ত্রগুলোর কিছু আবার পুনরায় জমা নেওয়া হতে পারে।

আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে মোট ১৭ হাজার ২০০টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছিল। জানা গেছে, ওই সময়ের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিদের কাছেও লাইসেন্স গিয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সব লাইসেন্স স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে এখনও ৩ হাজার ৮৬০টি অস্ত্র জমা পড়েনি, যা এখন অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায়, যেখানে ছিল ৭ হাজার ৫৫১টি লাইসেন্স।

অন্যদিকে, বৈধ অস্ত্রের মধ্যে ৭৭৮টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এইসব বাতিলকৃত লাইসেন্স বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ীদের নামে ছিল। অনেক লাইসেন্সধারী বিদেশে চলে গেছেন বা আত্মগোপনে রয়েছেন, আবার কেউ দাবি করেছেন তাদের অস্ত্র লুট হয়ে গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচনের আগে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স অনুমোদন করা হবে না এবং জমা দেওয়া অস্ত্র ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে।

নির্বাচনের নিরাপত্তা বিধানে এসব সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

১১৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন