সর্বশেষ

সারাদেশ

ভৈরব নদীতে হঠাৎ স্রোত, জীবননগরে সেতু ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে একটি সেতুর আংশিক অংশ ভেঙে পড়েছে।

পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ভৈরব নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে। এতে করে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের জোল মাঠ এলাকার একটি পুরনো সেতুর অংশ ধসে পড়ে। স্থানীয় কৃষকদের তৈরি জাগ পাট (কাঠ ও বাঁশের তৈরি বাধ) প্রবল স্রোতে ভেসে যায় এবং নদী সংলগ্ন নিচু জমিগুলো আংশিকভাবে প্লাবিত হয়।

পানির উচ্চতা ঠিক কতটুকু বেড়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কৃষকদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

সন্ধ্যার দিকে নদীর স্রোতের দৃশ্য দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করেন মনোহরপুর ও সন্তোষপুর গ্রামের নদীতীরে। কেউ কেউ স্রোতের মধ্যে মাছ ধরতেও দেখা গেছে। তবে পানি বৃদ্ধি এবং সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে চলে যান।

মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা এ আর ডাবলু বলেন, “এ বছর অনেক বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু নদীতে এমন স্রোত আগে কখনো দেখিনি। যদি পানি এমনভাবে বাড়তেই থাকে, তাহলে আমাদের ফসল তো রক্ষা করা যাবে না।”

সন্তোষপুর গ্রামের সজীব হোসেন জানান, “দুপুরেও পানি স্বাভাবিক ছিল। বিকেল থেকে হঠাৎ স্রোত বেড়ে যায়।”

স্থানীয়দের ধারণা, উজানে ভারি বৃষ্টিপাত অথবা কোনো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি পানি আরও বাড়ে, তবে নিচু এলাকায় ব্যাপক প্লাবন দেখা দিতে পারে।

এদিকে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ ফোনে পাওয়া যায়নি।

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন