নির্বাচন কমিশনের আরও ১ সদস্য ড. স্নিগ্ধার পদত্যাগ

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে চলমান বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ড. স্নিগ্ধা বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সমাজবিজ্ঞান ভবন কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে কমিশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগের দিন, শুক্রবার রাতে, কমিশনের আরেক সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তারও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনে অনেকগুলো মারাত্মক ত্রুটি ছিল যা পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার মতামত বিবেচনায় না নিয়েই ভোট গণনা শুরু করা হয়। এ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয় বলেই আমি পদত্যাগ করেছি।”
ভোট বর্জন, অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটের আগের রাতেই ওএমআর মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বাম ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রদল আপত্তি তোলে। এ প্রেক্ষাপটে কমিশন ও প্রশাসন ব্যালট গণনায় ওএমআর-এর পরিবর্তে হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে বিপরীত দিকে, ছাত্রশিবিরের সমর্থিত প্যানেল দাবি করে, ওএমআর মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি বিএনপি নেতার মালিকানাধীন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। সন্ধ্যার পর বাম-সমর্থিত আরও চারটি প্যানেলও নির্বাচন বর্জন করে। ফলে আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটি, মোট ৬৮ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১০টার পর শুরু হয় গণনা, তবে বিকেলে প্রায় তিন ঘণ্টা গণনা বন্ধ ছিল। একইদিন সকালে নির্বাচন কমিশন অফিসে কর্মরত শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনা পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শোকের আবহ তৈরি করে।
নির্বাচন ঘিরে শিক্ষক রাজনীতি, গ্রুপিং, ধীরগতির গণনা ও স্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
কমিশনের দুই সদস্যের পদত্যাগ, প্রার্থীদের ব্যাপক বর্জন ও স্বচ্ছতা ঘিরে অভিযোগের কারণে এবারকার জাকসু নির্বাচন বড় ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, এ নির্বাচন কি আদৌ গ্রহণযোগ্য থাকবে?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
১০৮ বার পড়া হয়েছে