চড়া বাজারে নাভিশ্বাস, মুরগির দাম বেড়ে কিছুটা স্বস্তি ডিমে

শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সেই সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, মাছ, শাক, ডাল, আটা, ময়দা ও চা পাতার দামও। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—ডিমের দাম সামান্য কমেছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ও পেঁপে ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৮০ টাকা কেজির নিচে নামছে না। গোলাকৃতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা ও কচুর লতি বাজারভেদে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল ৮০-১০০ টাকা এবং ঝিঙ্গা, পটল, ঢ্যাঁড়সও প্রায় ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, আলু এখনও তুলনামূলকভাবে সহনীয় দামে বিক্রি হচ্ছে—২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁপেও কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, যার কেজি ৩৫-৪০ টাকা।
শাকের বাজারেও আগুন। লাল শাক, কলমি ও হেলেঞ্চা শাকের প্রতিটি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। পুঁইশাকের প্রতি আঁটির দাম ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
প্রায় সব ধরনের মাছ ও মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে এখন ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাজিপাড়া বউ বাজারের এক বিক্রেতা জানান, চাহিদা বেশি থাকায় দামে এই বৃদ্ধি হলেও ২০০ টাকা পর্যন্ত দামকে তিনি "স্বাভাবিক" বলেই মনে করছেন।
তবে ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির লাল ডিমের দাম ডজনে ৫-১০ টাকা কমেছে। আগে যা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন নেমে এসেছে ১৪০ টাকায়। যদিও কিছু খুচরা দোকানে এক হালি ডিম এখনও ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারেও এখনও রয়েছে চাপ। মিনিকেট চালের দাম দুই সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এখনো তা কেজি প্রতি ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা এবং স্বর্ণা চাল ৫৮-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
নিত্যপণ্যের এমন লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। সরবরাহ সংকট, পরিবহন খরচ এবং মৌসুমি প্রভাবকেই অনেক বিক্রেতা এই অস্থিরতার জন্য দায়ী করছেন।
১১২ বার পড়া হয়েছে