সর্বশেষ

রাজনীতি

ভোট বর্জনে ছাত্রদল, অনিয়মের অভিযোগে ক্ষুব্ধ অন্যান্য প্যানেল, শিবিরের ঐক্যের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ঘিরে চরম উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়ম, পক্ষপাত এবং কারচুপির অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন প্যানেলের পক্ষ থেকে। একপর্যায়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।

মাওলানা ভাসানী হল প্রাঙ্গণে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’-এর জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা ঐক্যের রাজনীতি চাই। ছাত্রদল ভোট বর্জন করলেও আমরা তাদের সঙ্গে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমরা সহাবস্থানের ও সহমর্মিতার রাজনীতি করতে চাই। দূরত্বগুলো দূর করে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে প্রশাসনের কিছু টেকনিক্যাল ত্রুটি থাকলেও শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বড় কোনো অনিয়ম ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছে, লাইন ধরে অপেক্ষা করছে। উপাচার্য জানিয়েছেন, যতক্ষণ ভোটার থাকবে, ভোটগ্রহণ চলবে।”

তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলে—শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব হলে প্রার্থীদের আপত্তিতে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধও ছিল।

ছাত্রদলের ভোট বর্জন ও অভিযোগ

বিকেলে মাওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী বৈশাখী বলেন, “তাজউদ্দিন হলে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, ভোটার তালিকায় ছবি নেই, ২১ নম্বর হলে মব তৈরি হয়েছে। একাধিক মেয়েকে একাধিকবার ভোট দিতে দেখা গেছে। এ নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “জামায়াত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন ও ব্যালট ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনে আমরা থাকতে পারি না।” তিনি জানান, শিবিরপন্থী সাংবাদিকদের আচরণও ছিল আক্রমণাত্মক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’-এর অসন্তোষ

নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’। সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব বলেন, “ভোটের আগের রাতে পোলিং এজেন্ট বিষয়ে মিটিং হলেও সকালে কেন্দ্রে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কোনো তথ্য জানে না বলে জানান। প্রশাসনের সুষ্ঠু প্রস্তুতি ছিল না।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সাবেকরা সক্রিয়ভাবে অবস্থান করছেন, যা প্রশাসনের নির্দেশনার পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশনকে বারবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের অনাস্থা ঘোষণা

ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। প্যানেলের ভিপি প্রার্থী স্মরণ এহসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, “নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। আমাদের প্রার্থী অমর্ত রায়ের মনোনয়ন বাতিল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ভোটগ্রহণে অনিয়ম, সাংবাদিক প্রবেশে বাধা এবং প্রশাসনের নীরবতা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন