সর্বশেষ

রাজনীতি

৩৩ বছর পর আগামীকাল হচ্ছে জাকসু নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭৭ জন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। পাশাপাশি হল সংসদে ৪৪৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন। তবে শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে, আদালতের জটিলতায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়—হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশে তিনি নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৯১৯ জন, যার মধ্যে ৪৮.৮ শতাংশ ছাত্রী। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা রাখা হবে। ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতি ২০০ ব্যালটের জন্য একটি করে ব্যালট বাক্স থাকবে। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট ও ৬৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার—যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে ১২টি প্রবেশদ্বারে মোতায়েন থাকবে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। এছাড়া ভোটকেন্দ্রগুলোতে আনসার বাহিনীকেও মোতায়েন করা হবে।

ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটান। বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্যাম্পাসজুড়ে প্রচার চালান। নতুন কলা ভবন এলাকায় সক্রিয় দেখা গেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের।

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, “সব হলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো চ্যালেঞ্জিং। তবে গণআন্দোলনের সময়ে যারা পাশে ছিলেন, শিক্ষার্থীরা নিশ্চয়ই তাঁদেরই মূল্যায়ন করবেন।”
সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির-সমর্থিত) প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “যোগ্য, সৎ ও শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে সক্ষম এমন প্রার্থীরাই নির্বাচিত হবেন।”

হল সংসদের নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এই দুটি হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদের ভোটগ্রহণ হবে। সুফিয়া কামাল হলে ১৫টি পদের মধ্যে ১০টিতে এবং ফয়জুন্নেছা হলে ৬টিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যথাক্রমে ৫টি ও ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৫৬৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫১০ জন নমুনা জমা দেন। বাকি ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেননি, যদিও পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল।

দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে এখন শুধু অপেক্ষা ভোটগ্রহণের।
 

১১০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন