সর্বশেষ

রাজনীতি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিতর্কে ভিপি প্রার্থী আবিদুল

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:২০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শুরুতেই উৎসবমুখর পরিবেশে কিছুটা ভিন্ন সুর বয়ে এনেছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ।

বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভোট শুরুর পরপরই নিয়মভঙ্গের অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন আবিদুল ইসলাম, যেখানে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছিলেন। নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন না—এমনকি কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচার সামগ্রী বিতরণও নিষিদ্ধ।

তবে দেখা যায়, আবিদুলের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচারপত্র বিলি করছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন। উপস্থিত একাধিক নারী ভোটার এতে বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং প্রতিবাদ জানান।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভোট চাইছি না, শুধু প্রার্থীদের ব্যালট নম্বরসহ লিফলেট দিচ্ছি। এত প্রার্থীর নম্বর মুখস্থ রাখা কঠিন, তাই শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্যই এটি করা হচ্ছে।’

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ কিংবা আশেপাশে ভোটার স্লিপ বিতরণ করা সরাসরি আচরণবিধি লঙ্ঘন।

আরও জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রের কাছেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা টেবিল পেতে বুথ স্থাপন করে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন, যা নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়মের পরিপন্থী।

ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভোটটা উৎসবের মতো উদযাপন করতে চাই, অভিযোগ করতে চাই না।’ তবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই আমি কেন্দ্রে প্রবেশ করেছি।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের জন্য আলাদা কোনো পরিচয়পত্র (কার্ড) প্রদান করা হয়নি, যার ফলে তাকে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, বিশেষ করে মেয়েদের হলের ভোটকেন্দ্রে।

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন