দৌলতপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৩:৫২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম কামাল হোসেন। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ১০-১২ জন ছাত্রীকে ক্লাস চলাকালে ডেকে কাছে বসিয়ে শিক্ষক কামাল হোসেন তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং অশালীন আচরণ করেন। এ সময় তিনি ছাত্রীদের "হিজাব" খুলে আসতেও বলেন বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার পর ছাত্রীরা বিষয়টি পরিবারকে জানালে অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক কামাল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সংবাদ পেয়ে মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিএনপি সভাপতি সাইদুর রহমান বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষককে অফিস কক্ষ থেকে বের করে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কামাল হোসেনকে ঘিরে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে গণধোলাই দেয়। এ পর্যায়ে শিক্ষক কামাল হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, 'পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলে হামলা করেছে। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ এলাকাবাসী বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে করেছে।'
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, 'ঘটনাটি আমরা শুনেছি এবং ইতোমধ্যে আমাদের কয়েকজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, 'ফোনে আমি এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। খবর পাওয়ার পরই আমাদের থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা দ্রুত বিচার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
১১৯ বার পড়া হয়েছে