নেপালে জেন–জি'র বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
নেপালে সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে চলমান এই বিক্ষোভে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বাণেশ্বর এলাকায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তা পুরো কাঠমান্ডুতে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত সম্প্রতি সরকার কর্তৃক ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্সসহ অন্তত ২৬টি সামাজিকমাধ্যম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পর থেকেই তরুণ প্রজন্ম—বিশেষত জেনারেশন জি (জেন-জি)—বিক্ষোভে নামেন।
বিক্ষোভ দমনে কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হচ্ছে জলকামান, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট। পাল্টা প্রতিরোধে বিক্ষোভকারীরা লাঠি, গাছের ডাল ও পানির বোতল ব্যবহার করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেছেন। এছাড়া ‘শীতল নিবাস’ (প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন), ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন, সিংহ দরবার (রাজপ্রাসাদ), প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। তবে কারফিউ উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে আসে।
দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-এর বরাতে জানা যায়, বিক্ষোভ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র কাঠমান্ডুতে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরিস্থিতি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১১৪ বার পড়া হয়েছে