সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগ করেছেন

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) অভ্যন্তরীণ বিভাজন রুখতেই পদত্যাগ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইশিবার নেতৃত্বে গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর থেকেই তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই দলীয় নেতাদের একটি অংশ তার পদত্যাগ দাবি করে আসছিল।

প্রথমে চাপের মুখে পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালেও শেষ পর্যন্ত দলীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইশিবার শাসনামলে পরপর কয়েকটি নির্বাচনে হার দেখতে হয় তার দলকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল, পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো। বিশেষ করে গত অক্টোবরের নির্বাচনে এলডিপি ও তার মিত্ররা নিম্নকক্ষে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক চাপের কারণে জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল, যা ভোটের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়। এতে ইশিবার নীতিগত লক্ষ্য বাস্তবায়নও প্রশ্নের মুখে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে দলটির ডানপন্থী অংশ থেকে তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ে।

শনিবার রাতে কৃষিমন্ত্রীসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাকে পদত্যাগে রাজি করানোর চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। তবে সরকারিভাবে এখনও তার পদত্যাগ ঘোষণা করা হয়নি। ইশিবা আজ রোববার সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে জাপান সরকার।

উল্লেখ্য, এলডিপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য আগামীকাল ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের তালিকায় রয়েছেন—রক্ষণশীল নেতা সানায়ে তাকাইচি ও বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। তাকাইচি এর আগে ইশিবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন, আর কোইজুমি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য।

মেইজি ইয়াসুদা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অর্থনীতিবিদ কাজুতাকা মা’এদা বলেন, “পরপর নির্বাচনী পরাজয়ের কারণে শিগেরু ইশিবার পদত্যাগ অনেকটাই অনুমেয় ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “তাকাইচি ও কোইজুমি দুজনই সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় আছেন। কোইজুমি স্থিতিশীল নীতিতে অটল থাকলেও তাকাইচির রাজস্ব নীতি ও সুদের হারের বিষয়ে কঠোর অবস্থান বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানি গাড়ির ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন হারে শুল্ক ২৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাপানের শুল্ক আলোচকরা।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন