বোকো হারামের হামলায় নাইজেরিয়ায় নিহত অন্তত ৬০

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বরনো রাজ্যের সীমান্তবর্তী দারুল জামাল গ্রাম ও একটি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সেনা সদস্য এবং অন্তত ১৩ জন চালক ও শ্রমিক রয়েছেন, যারা ওই এলাকায় পুনর্গঠনকাজে নিয়োজিত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলায় গ্রামের প্রায় ২০টি ঘরবাড়ি এবং ১০টি যাত্রীবাহী বাস ধ্বংস হয়ে যায়।

নাইজেরীয় বিমানবাহিনী জানায়, হামলার খবর পাওয়ার পরপরই পাল্টা বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ জন বোকো হারাম সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

সম্প্রতি বাস্তুচ্যুতদের ফিরে আসায় দারুল জামাল গ্রামে আবারও জনজীবন সচল হতে শুরু করেছিল। তবে এই হামলার পর এলাকা পুনরায় নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে।

শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বাবাগানা জুলুম। তিনি বলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। গ্রামটি কিছু মাস আগেই পুনর্বাসিত হয়েছিল। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছিল। এখন সবকিছু আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।" তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনীর বর্তমান সদস্যসংখ্যা পরিস্থিতি সামলাতে যথেষ্ট নয়। এ কারণে নিরাপত্তা জোরদারে ‘ফরেস্ট গার্ডস’ নামে নতুন একটি বাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বোকো হারাম ও এর প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন আইএস ওয়েস্ট আফ্রিকা সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা বাড়িয়েছে। গত ১৫ বছরে শুধু বরনো রাজ্যেই বোকো হারামের হামলায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

২০১৪ সালে বরনোর চিবক শহর থেকে ২৭০ জনের বেশি ছাত্রী অপহরণের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পায় বোকো হারাম।