মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় তাহেরীর বক্তব্য

শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এই বর্বর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে, উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায়। জানা যায়, ইমাম মাহদী দাবিদার নুরাল পাগলার মৃত্যু হলে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে মৃত্যুর পরদিন, ‘তৌহিদী জনতা’ নামক একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা কবর থেকে তার মরদেহ তুলে এনে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নুরাল পাগলার অনুসারীদের সঙ্গে ‘তৌহিদী জনতা’র সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা (২৮) নামের এক যুবক নিহত হন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে। এরইমধ্যে, ইসলামি বক্তা মুফতী গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন,“আমি দেখেছি, নুরাল পাগলা নামে একজন মানুষ মারা গেছেন। তার জীবনে যদি ভুল থেকে থাকে, তাহলে তার বিচার হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের আওতায়। কবর থেকে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে ফেলা কোনোভাবেই ইসলামী কিংবা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন,“আপনারা যারা এই কাজ করেছেন, তারা কি কখনো দেখেছেন বাংলাদেশে মুসলমানের লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে? স্বাধীনতার আগে-পরে এমন ঘটনা কি কখনো ঘটেছে?”
ঘটনাটি এখন শুধুই নিন্দার পর্যায়ে নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরেও এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে কোনো গোষ্ঠী যাতে আইন হাতে না তোলে, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছে সরকার। বলা হয়েছে, এ ধরনের বর্বরতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
১৪৯ বার পড়া হয়েছে