সর্বশেষ

রাজনীতি

ডাকসু নির্বাচন: শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণা, আলোচনায় ভিপি পদ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৩:২২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।

সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদ।

এবার ভিপি পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৪৪ জন। তবে রুমমেটকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রার্থীদের নামের প্রথম বাংলা অক্ষর অনুযায়ী ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রচারণায় মুখচেনা মাত্র ১০ জন
যদিও ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৩ জন, তবে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় রয়েছেন মাত্র ১০ জন। এসব প্রার্থীদের কেউ সমর্থন পাচ্ছেন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের, কেউ আবার স্বতন্ত্রভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ক্যাম্পাসে।

আলোচিতদের মধ্যে রয়েছেন:

আবিদুল ইসলাম খান (ছাত্রদল সমর্থিত),
সাদিক কায়েম (ছাত্রশিবির সমর্থিত),
আব্দুল কাদের (বাগছাস সমর্থিত),
উমামা ফাতেমা (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য),
শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি (বামজোট সমর্থিত),
বিন ইয়ামীন মোল্লা (ছাত্র অধিকার পরিষদ),
ইয়াছিন আরাফাত (ইসলামী ছাত্র আন্দোলন),
জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ (সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ),
শামীম হোসেন (স্বতন্ত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব),
জান্নাতি বুলবুল (সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য)।
ব্যালটে প্রথম, আলোচনায় কেউ কেউ
ব্যালট নম্বর ১-এ রয়েছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াহেদ, তবে আলোচনার শীর্ষে নেই। ব্যালট ২-এ রয়েছেন আলোচিত প্রার্থী আব্দুল কাদের, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ব্যালট ৬ নম্বরে উমামা ফাতেমা, যিনি নারী ও বৈষম্যবিরোধী ইস্যুতে প্রচারণায় এগিয়ে।

এছাড়া ১৯ নম্বরে রয়েছেন জেল খাটা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিন ইয়ামীন মোল্লা, ২১ নম্বরে ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান এবং ২২ নম্বরে ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম। ২৪ নম্বর ব্যালটে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ইয়াছিন আরাফাত, এবং ৩৬ নম্বরে একমাত্র আলোচিত নারী প্রার্থী জান্নাতি বুলবুল।

ভোট নিয়ন্ত্রণে শঙ্কা, তবে সম্ভাবনা উজ্জ্বল
সাবেক ভিপি ও বিশিষ্ট রাজনীতিক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “ভোট যদি সুষ্ঠু হয় এবং শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেন, তাহলে বড় দলের বাইরে থেকেও কেউ জিততে পারে।”
সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন মনে করেন, “ভোটের পরিবেশ সমান হলে নারী ভোটারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।”

চ্যালেঞ্জ ও সমীকরণ
বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় দলের সমর্থিত প্রার্থীদের ভোটব্যাংক থাকলেও ভোট বিভাজনের কারণে এবার ব্যতিক্রম কিছু ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু না হলে প্রশাসনঘনিষ্ঠ প্রার্থীর জয়ের শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন