সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে তৃতীয় দফা ভূমিকম্প, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২ হাজার

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:২৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে ৬.২ মাত্রার এই কম্পনটি অনুভূত হয় দেশটির নাঙ্গারহার প্রদেশের সীমান্তবর্তী শিওয়া জেলায়। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

টানা তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশটি। প্রথম দফার ভূমিকম্পেই প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২০০ জনের বেশি। তালেবান প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ৬৪০ জন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যাদের অনেকেই আশ্রয়হীন। ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে ৬ হাজার ৭০০টির বেশি বাড়ি। ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি কুনার ও নাঙ্গারহার প্রদেশে, যেখানে কোনো কোনো গ্রামে প্রায় ৯৮ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফ।

উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে মরদেহ। স্থানীয়রা বাঁশের খাটিয়ায় লাশ বহন করছেন, কেউবা শাবল হাতে কবর খুঁড়ছেন। ভূমিকম্পের পর নিয়মিত আফটারশক ও ভারী বৃষ্টির কারণে বাসিন্দারা ঘরে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে চরম খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয় সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) হিসাবে, তাদের মজুদকৃত খাদ্য সামগ্রী চার সপ্তাহের বেশি চলবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, তারা ৩০ লাখ ডলারের তহবিল ঘাটতির মুখে রয়েছে।

ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে তালেবান প্রশাসন সেনা হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে। কিছু দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টার নামতে না পারায় প্যারাশুটের মাধ্যমে সেনা সদস্য নামানো হয়েছে।

তীব্র মানবিক সংকটের মধ্যেই আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। তালেবানের নারী সংক্রান্ত নীতি এবং ত্রাণ সংস্থাগুলোর ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে অনেক দেশ ও সংস্থা আফগানিস্তানে কার্যক্রম সীমিত করে দিয়েছে।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মুখপাত্র জাকোপো কারিদি বলেন, “এই ভূমিকম্প একটি শক্ত বার্তা দিয়েছে—আফগানিস্তানকে একা ফেলে রাখা যাবে না। কেবল জরুরি সহায়তা নয়, টেকসই সহায়তার জন্যও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।”

১৩৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন