সর্বশেষ

জাতীয়

নির্বাচনে নতুন বিধিনিষেধ: বন্ধ পোস্টার, সীমিত বিলবোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৪:০৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এবার আর প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার। এছাড়া, প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন, যার আকার হবে সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যে ১৬ ফুট ও প্রস্থে ৯ ফুট।

নতুন আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনসহ পুরো প্রচারকালজুড়ে ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্রের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

এবারই প্রথমবারের মতো ভোটার স্লিপ বিতরণকে আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে আচরণবিধিতে। তবে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিতরণকৃত ভোটার স্লিপে প্রার্থীর নাম, ছবি, পদের নাম বা প্রতীক উল্লেখ করা যাবে না।

সোশাল মিডিয়া ও এআই ব্যবহারে কড়াকড়ি
নতুন আচরণবিধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার প্রতিরোধে কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য বা অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রার্থীদের নিজ নিজ প্রচার প্ল্যাটফর্মের তালিকা এবং সেগুলোর ওয়েব লিংক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

ইসি কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "ভালো কাজে এআই ব্যবহৃত হচ্ছে, কিন্তু এর সীমারেখা খুব সূক্ষ্ম। বোঝা কঠিন কোনটা এআই, কোনটা নয়। তাই অপপ্রচারের যেকোনো ঝুঁকি ঠেকাতে সোশাল মিডিয়া এবং এআই ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”

নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তির বিধান
প্রার্থীর প্রচারে পোস্টার ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ।
বিলবোর্ডে শুধুমাত্র ডিজিটাল লাইট ব্যবহার করা যাবে; আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ।
পলিথিন, রেক্সিন বা পরিবেশ দূষণকারী উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধ।
শব্দের মাত্রা সীমিত থাকবে ৬০ ডেসিবেল পর্যন্ত।
প্রার্থীর প্রচারের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৩ সপ্তাহ।
প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না সরকারি সুবিধাভোগী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ অন্যান্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
আচরণবিধি ভঙ্গের শাস্তি
আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচনী আচরণবিধির গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগও রাখা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ৯১ ধারা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণমাধ্যমে ইশতেহার পাঠের ব্যবস্থা
সব প্রার্থীকে এক মঞ্চে এনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার পাঠের সুযোগ দেবে ইসি। সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি দিন নির্ধারণ করে প্রার্থীদের এই সুযোগ করে দেবেন।

এখন এসব প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই এগুলো কার্যকর হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

১২৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন