সর্বশেষ

আইন-আদালত

২১ আগস্ট হামলা: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের রায় আজ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের রায় আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করবে আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে ২১ আগস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে হাইকোর্ট আসামিদের খালাস দিলে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পাঁচ দিন ধরে চলা শুনানি শেষে ২১ আগস্ট আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করে।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন। তারা হাইকোর্টের রায় বাতিল করে বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রাখার আবেদন জানান।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তারা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আবেদন জানান।

ঘটনার পটভূমি
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে চালানো গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে বিতর্কিত একটি প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নতুন করে সিআইডি তদন্ত শুরু করে এবং ২০০৮ সালে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আরও তদন্ত করে তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় দেয়। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

হাইকোর্টের রায় ও পর্যবেক্ষণ
২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সকল আসামিকে খালাস দেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, "এটি দেশের ইতিহাসে এক জঘন্য মর্মান্তিক ঘটনা। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের ন্যায়বিচারের জন্য সুষ্ঠু ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন ছিল, যা মামলাটিতে হয়নি।"

হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, "যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্ত প্রয়োজন। এজন্য মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত।"

আজকের রায়ের দিকে দেশবাসীর নজর
এই মামলার আপিলের রায় ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ পুরো দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক আগ্রহ ও উত্তেজনা। আজকের রায়ে কী সিদ্ধান্ত আসে—তা জানতে অপেক্ষায় আছে পুরো জাতি।

১৫৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন