সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখেও রুশ তেলে ছাড় পাচ্ছে ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক ধরে রেখেছে ভারত।

ব্লুমবার্গের বরাতে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে ও আগামী অক্টোবর থেকে রুশ উরাল গ্রেড অপরিশোধিত তেল ভারত ব্যারেলপ্রতি ৩ থেকে ৪ ডলার কম দামে আমদানি করতে পারবে।

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া থেকে তেল কেনার দিক দিয়ে অন্যতম প্রধান আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে নয়াদিল্লি। এই সময়ে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরতা কমায়নি ভারত। বরং নতুন করে মূল্যছাড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে দেশটি।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর চাপ বাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি ব্যবসার কারণে দেশটির পণ্যে আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো কড়া সমালোচনা করে বলেন, “পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের আগে ভারত রাশিয়া থেকে এত পরিমাণ তেল কিনত না। এখন রাশিয়া ছাড় দিয়ে তেল দেয়, ভারত তা পরিশোধন করে এবং প্রিমিয়ামে অন্য দেশে বিক্রি করে—ফলে এই চক্রে রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রই জ্বালানি পায়।”

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত প্রতিরক্ষা সহযোগিতাও বাড়াচ্ছে ভারত। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর কাছ থেকে ছাড়ে তেল পাওয়ার পাশাপাশি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাকি ইউনিটগুলো পেতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ জানান, ২০২৬ ও ২০২৭ সালের মধ্যে বাকি দুটি ইউনিট সরবরাহ করা হবে।

২০১৮ সালে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তির আওতায় পাঁচটি এস-৪০০ ইউনিটের জন্য সমঝোতায় পৌঁছায় ভারত ও রাশিয়া। এর মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।


সম্প্রতি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে রয়েছে “বিশেষ সম্পর্ক”। একই সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি জানান, ভারত ও চীন পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং অংশীদার হয়ে কাজ করতে চায়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও নয়াদিল্লি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক শক্তিশালী করে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করছে।

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন