সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ছাড়িয়েছে ১৪শ'

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এর ফলে ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া এলাকাগুলোয় আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে মৃত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এর আগে, রোববার রাতে ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু গ্রাম সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদের বরাতে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪১১ জন, আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ১২৪, এবং ধসে পড়েছে ৫ হাজার ৪০০-এর বেশি বাড়িঘর।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, মঙ্গলবারের কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমির ১০ কিলোমিটার গভীরে, যা আগের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি। ফলে পাহাড়ধসে একাধিক সড়ক বন্ধ হয়ে যায় এবং চলমান উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।


ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, প্রায় প্রতিটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। অনেক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

মানবিক সহায়তা সংস্থা 'আসিল'–এর কর্মী সাফিউল্লাহ নূরজাই বলেন, “নতুন কম্পনে আরও অনেকে আহত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুনার ও নানগারহার প্রদেশ।”


শিশুরাও বিপদের মুখে, জরুরি সহায়তার আহ্বান
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বহু সংখ্যক শিশু রয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা ওষুধ, তাঁবু, গরম কাপড়, স্যানিটারি সামগ্রী এবং বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করেছে।


সেভ দ্য চিলড্রেন সংস্থা জরুরি তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থার পরিচালক সামিরা সাঈদ রহমান বলেন, “এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবন রক্ষার লড়াই চলছে। দুর্গম গ্রামগুলো থেকে আহতদের বের করে আনা ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি ও আশ্রয় নিশ্চিত করা জরুরি।”


দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে আফটারশক, খোলা আকাশেই রাত কাটাচ্ছে অনেকে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাড়িঘর ধসে পড়ায় বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। পরপর আফটারশকের আশঙ্কায় তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

আসিলের নূরজাই বলেন, “মানুষ ঘরহীন হয়ে খোলা আকাশে রাত কাটাচ্ছে, আর আফটারশকের আতঙ্ক তাদের দুঃসহ অবস্থার মধ্যে ফেলছে। এই মুহূর্তে খাদ্য, পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।”


হেলিকপ্টারে চলছে উদ্ধারকাজ
তালেবান প্রশাসন দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাতে হেলিকপ্টারের সহায়তা নিচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে পৌঁছাতে অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে। উদ্ধারকারীরা এখনও ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৪৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন