সর্বশেষ

সারাদেশ

কুষ্টিয়ায় হঠাৎ বন্যায় চরম বিপর্যয়ে কৃষকরা, জলের নিচে সব ফসল

মোঃ আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
মোঃ আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলে হঠাৎ বন্যায় পানির নিচে ডুবে গেছে শত শত হেক্টর আবাদি জমি।

পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, পাট, ভুট্টা, সবজি, কলা ও মরিচসহ নানা ধরনের ফসল।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র দৌলতপুরেই প্রায় ১ হাজার ১ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো জেলার হিসাবে এই সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২৯৮ হেক্টর। ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে, কৃষকদের অনেকে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।


চিলমারীর স্থানীয় কৃষকরা জানান, হঠাৎ এই বন্যা তাদের কল্পনাতেও ছিল না। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ফসলের জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। চোখের সামনে ধান, পাট, সবজি ও কলার গাছ মরে যেতে দেখে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, এমন ক্ষয়ক্ষতির মুখে আগে কখনও পড়েননি।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, “চরের প্রায় সব জমিই এখন পানির নিচে। ধানগাছ পুরোপুরি ডুবে গেছে। ফলে কৃষকদের মাঝে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে।”


দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে সরকারি সহায়তার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “চরাঞ্চলের কৃষকরা ইতোমধ্যেই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাই দ্রুত সহায়তা দেওয়া জরুরি।”

একইসঙ্গে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল করিম জানিয়েছেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে একটাই প্রশ্ন— “ফসল না হলে পরিবার চলবে কীভাবে?” এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে জরুরি হয়ে পড়েছে সরকারি প্রণোদনা, আর্থিক সহায়তা ও কৃষি ভর্তুকি।

১৩২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন