সর্বশেষ

আইন-আদালত

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের পরিবর্তন : বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:২৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কিছু অংশকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচার বিভাগের জন্য তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। আদালতের এই রায়ের ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

তারা আরও বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পথও পুরোপুরি উন্মুক্ত হলো।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের সাতজন আইনজীবী। তারা হলেন- মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।

প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের তৎকালীন বেঞ্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রুল জারি করেন। রুলে ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা কেন সাংবিধানিকভাবে বাতিলযোগ্য নয়—তা জানতে চাওয়া হয়।

সেইসঙ্গে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া এবং ইন্টারভেনর হিসেবে আইনজীবী আহসানুল করিম অংশ নেন।

গত ১৩ আগস্ট এই রুলের ওপর শুনানি শেষ হয় এবং রায় ঘোষণার জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। আজ রায়ে হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে, ১১৬ অনুচ্ছেদের রাষ্ট্রপতির অধীনে অধস্তন আদালত নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অংশ বাতিল করেন।

পাশাপাশি, তিন মাসের মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

আইনজীবীরা বলছেন, এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার পথে গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ অতিক্রম করা হলো।
এখন আর বিচারকদের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির বিষয়ে নির্বাহী বিভাগ কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না—এসব বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে।

৩১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন