সর্বশেষ

সারাদেশ

বাকৃবিতে হল ছাড়ার নির্দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:৫২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এখন অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বহিরাগতদের হামলার জেরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও উত্তেজনার মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে।

সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি অধিকাংশ শিক্ষার্থী।

সকালে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করলেও, বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। সকাল ৮টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে লাঠিসোটা হাতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। একই সময় অন্যান্য হল থেকেও শিক্ষার্থীরা কেআর মার্কেট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা 'হল না ছাড়ার' ঘোষণা দিয়ে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন:

শুধু কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রাখা,
প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ,
উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া,
হামলায় জড়িত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভবিষ্যতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতরাতে বহিরাগতদের একটি সংঘবদ্ধ দল বিভিন্ন হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়, যার ফলে বেগম রোকেয়া ও জুলাই ৩৬ হলের কিছু শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেন।

রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “গত রাতের হামলা ন্যাক্কারজনক। পরিবারের চাপে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে আমাদের হল ছাড়তে হচ্ছে।”

অন্যদিকে, ঈশা খাঁ হলের শিক্ষার্থীরা হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, “রাতের বেলা এমন তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত এক ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ। কিছু শিক্ষকও এই হামলায় জড়িত ছিলেন বলে আমরা মনে করি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুনির হোসাইন দাবি করেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, “হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এদিকে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা যাচ্ছে। পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে মোতায়েন রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও আমরা ক্যাম্পাসের ভেতরে হস্তক্ষেপ করছি না।”

র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. সামসুজ্জামান বলেন, “রাতভর সতর্ক অবস্থানে ছিলাম, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

এখন দেখার বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং চলমান অস্থিরতা কত দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

১৩৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন