সর্বশেষ

রাজনীতি

ডাকসু : অনলাইনে প্রচার নজর কাড়ছে, হচ্ছে কাদা ছোড়াছুড়িও

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ৩:০২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে পুরো ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ প্রচারণা। পোস্টার, ফ্লায়ার কিংবা মিছিলে সীমাবদ্ধ না থেকে এবার প্রার্থীরা বেছে নিয়েছেন নানাভাবে আকর্ষণীয় ও অভিনব প্রচার কৌশল।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রার্থীদের মিমস, ভিডিও ও ব্যতিক্রমী ফটোকার্ড নজর কেড়েছে শিক্ষার্থীদের।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ থাকলেও, লিফলেট বিলির অনুমতি রয়েছে। এই সুযোগে কেউ কেউ প্রচারপত্রকে রূপ দিয়েছেন মুদ্রার আদলে, কেউ আবার জনপ্রিয় ফুটবলারের জার্সি বা ভিডিও ব্যবহার করছেন। অনেকেই ব্যালট নম্বরকে কেন্দ্র করে তৈরি করছেন মজার অথচ কার্যকর প্রচার সামগ্রী।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় সদস্য পদপ্রার্থী উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া তার ৩২ নম্বর ব্যালটকে মিলিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির প্রেক্ষাপটে তৈরি ফটোকার্ডে। অন্যদিকে ১৯৩ নম্বর ব্যালট পাওয়া প্রার্থী শাহীন বিশ্বাস প্রচার চালাচ্ছেন জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের অনুপ্রেরণায়।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রার্থী আতিকুল্লাহ যোবায়ের ব্যারিস্টার সুমনের জনপ্রিয় ভিডিও নকল করে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। ভিডিওটি দেখা হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার বার। প্রার্থীর ভাষায়, ‘যখন সবাই গতানুগতিক প্রচার করছে, আমি ভেবেছি কিছু আলাদা করা যায় কি না।’

এছাড়াও স্যার এ এফ রহমান হলের ভিপি প্রার্থী নাইমুর রহমান তৈরি করেছেন ডলারের আদলে লিফলেট, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি জানান, প্রচলিত লিফলেটের বাইরে গিয়ে কিছু আকর্ষণীয় করার চিন্তা থেকেই এমন ধারণা এসেছে।

প্রচারে মিমস-ভিডিও, পাল্টা কাদা ছোড়াছুড়িও অনলাইনে
অনলাইন প্রচারে যেমন ইতিবাচক উদাহরণ রয়েছে, তেমনি নেতিবাচক প্রচারণাও চলছে সমানতালে। ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণার পর ‘ডিপার্টমেন্ট অব এক্সপোজ: ইউনিভার্সিটি অব গণতদন্ত’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বামপন্থি, গণতান্ত্রিক ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরাও এই ধরনের প্রচারের শিকার হচ্ছেন।

অন্যদিকে, ‘ডাকসু মিমস পোস্টিং’ নামের একটি পেজ থেকে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে। যদিও শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মহিউদ্দীন খান, শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী, বলেন, ‘এই পেজগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং আমাদের বিরুদ্ধেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

একই সময়ে ‘ডাকসু ফ্যাক্টচেক’ নামে আরেকটি পেজ চালু হয়েছে, যেখানে অতীত রাজনৈতিক ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। তবে এটি কারা পরিচালনা করছে, তা নিয়েও রয়েছে জল্পনা।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা সেই কাদা ছোড়াছুড়িতে যেতে চাই না।’

নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ
নির্বাচনের প্রধান কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, অনলাইনে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়ে তাঁরা অবগত। ইতোমধ্যে দুটি ফেসবুক পেজ বন্ধে বিটিআরসিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গঠিত হয়েছে একটি আচরণবিধি টাস্কফোর্সও।

তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেলেই যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও উৎসবমুখর করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

১৬৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন