তুরস্কের আকাশসীমায় ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক উড়োজাহাজ নিষিদ্ধ

শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫ ৪:৩২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
তুরস্ক ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক উড়োজাহাজের জন্য নিজের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে উত্তেজনা এবং পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান শুক্রবার পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, "আমরা ইসরায়েলি উড়োজাহাজকে আমাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিচ্ছি না। এই পদক্ষেপ গাজায় চলমান গণহত্যার জবাবে নেওয়া হয়েছে।"
ফিদান আরও বলেন, "আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করেছি। আমাদের বন্দর ইসরায়েলি জাহাজের জন্য বন্ধ এবং তুর্কি জাহাজগুলোকেও ইসরায়েলি বন্দরে যেতে দিচ্ছি না। অস্ত্র ও গোলাবারুদবাহী কন্টেইনার জাহাজগুলোকে আমাদের বন্দরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।"
তবে তুরস্কের একাধিক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা নতুন নয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকেই ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এক সূত্র জানায়, বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট—যেগুলো ইসরায়েলগামী হলেও বিদেশি এয়ারলাইনস পরিচালনা করে—তারা তুরস্কের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে।
আরেক কর্মকর্তা জানান, গত বছর নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের আজারবাইজানগামী সরকারি উড়োজাহাজ তুরস্কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার ভাষায়, “আমরা ধারাবাহিকভাবে সরকারি ফ্লাইটের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আসছি।”
এছাড়া সম্প্রতি ইসরায়েলি মালিকানাধীন ও সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর ওপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তুরস্ক, যাতে তারা তুর্কি বন্দরে ভিড়তে না পারে। এই পদক্ষেপগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঘোষিত ছয়টি নিষেধাজ্ঞার অংশ, যা বোগোটায় আয়োজিত ‘হেগ গ্রুপ’-এর জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানকে কেন্দ্র করে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমেই অবনতি ঘটছে। তুরস্ক ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা গণহত্যার মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক জোট গঠনের উদ্যোগ চালাচ্ছে।
১৪০ বার পড়া হয়েছে