সর্বশেষ

সারাদেশ

নড়াইলে হাঁস পালনে বেকার যুবকদের ভাগ্য বদলের গল্প

এস এম শরিফুল ইসলাম, নড়াইল
এস এম শরিফুল ইসলাম, নড়াইল

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের শোলপুর ও আশপাশের বিল এলাকা বর্ষাকালে জমে থাকা জলাশয়গুলো কাজে লাগিয়ে হাঁস পালনে নিজেই কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছেন বেকার তরুণরা।

পোনা হাঁস থেকে শুরু করে হাঁসের ডিম বিক্রি করে তারা প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার আয় করছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) শোলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বেকার যুবক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন, “প্রথমে মাত্র ২০০ হাঁস নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। এখন আমার খামারে ৫০০ হাঁস আছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ ডিম পাওয়া যায়, যা থেকে মাসে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় হয়। ডিম পাড়ার পর হাঁস বিক্রি করলেই আড়াই লাখ টাকার মতো অতিরিক্ত আয় হবে।”

অন্যদিকে, দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান শেখও লেখাপড়ার পাশাপাশি হাঁস পালন করে মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন। তার খামারে বর্তমানে ২৫০টি হাঁস রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা ডিম বিক্রি করেন।

শুধু শোলপুর বিলেই নয়, বড়েন্দার বিল, ইছামতী বিল, দুধপাতাল বিলসহ অন্তত ১২টি বিল এলাকায় ১৫০ জনের বেশি বেকার যুবক হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্ষাকালে ধানক্ষেত জমে থাকার কারণে হাঁস পালন সহজ ও লাভজনক হয়ে উঠেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নড়াইলে বর্তমানে প্রায় ৩০০টি হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ক্যামবেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের মোট প্রায় ৩ লাখ ৫১ হাজার হাঁস পালন করা হচ্ছে। বছরে এখানে উৎপাদিত হয় প্রায় সাড়ে তিন কোটি ডিম।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দীকুর রহমান জানান, “বিল এলাকায় হাঁস পালন করে বেকার যুবকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। হাঁসের খাবারের খরচ কম হওয়ায় খামার পরিচালনা সাশ্রয়ী হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ, ভ্যাকসিন ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে রয়েছে।”

১৮৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন