সর্বশেষ

লাইফস্টাইল

বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় কোন কোন দেশে 

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
প্রেম ও বৈবাহিক সম্পর্কের পরিধি আজ আর সীমাবদ্ধ নেই শুধুমাত্র নিজের দেশের গণ্ডিতে।

অনেকেই এখন ভালোবাসার টানে কিংবা একটি উন্নত জীবনের আশায় বিদেশি জীবনসঙ্গীকে বেছে নিচ্ছেন। পাশাপাশি, কিছু মানুষ বিয়ের মাধ্যমে বৈধভাবে একটি নতুন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার দিকেও দৃষ্টি দিচ্ছেন।

বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়া কি সত্যিই সম্ভব? সংক্ষেপে উত্তর—হ্যাঁ, সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই সুবিধা দিয়ে থাকে নির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশের কথা, যেখানে বৈবাহিক সম্পর্ক নাগরিকত্বের পথ সহজ করে দেয়।


ব্রাজিল
দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিল, নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অন্যতম উদার। যদি কেউ ব্রাজিলের নাগরিককে বিয়ে করেন এবং অন্তত এক বছর দেশটিতে তার সঙ্গে বসবাস করেন, তাহলে নাগরিকত্বের আবেদন করা সম্ভব। ভালো খবর হচ্ছে, ব্রাজিল দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে, ফলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রয়োজন নেই।


পর্তুগাল
পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য দেশটিতে বসবাস করাও আবশ্যক নয়। বিয়ের সম্পর্ক স্থায়ী থাকতে হবে অন্তত তিন বছর। পর্তুগিজ ভাষা ও সংস্কৃতিতে জ্ঞান থাকলে প্রক্রিয়াটি সহজ হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায়, এ নাগরিকত্বের মাধ্যমে ইউরোপজুড়ে অবাধ চলাচলের সুযোগ মেলে।


পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিয়ের পর দেশটিতে টানা দুই বছর বসবাস করতে হবে এবং বিবাহিত সম্পর্ক হতে হবে অন্তত তিন বছরের। আবেদনকারীর পোলিশ ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ নাগরিকত্ব পেতে ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যিক।


সার্বিয়া
তিন বছর বৈবাহিক সম্পর্ক এবং দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। যদিও কিছু নিয়ম কঠোর হলেও বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মাবলী শিথিলভাবে প্রয়োগ হয়। সার্বিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম, যা নাগরিকত্ব প্রত্যাশীদের জন্য বাড়তি সুবিধা।


ফ্রান্স
ফরাসি নাগরিককে বিয়ে করলে চার বছর একসঙ্গে বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। তবে যদি বিয়েটি ফ্রান্সের বাইরে হয়, তাহলে সময়সীমা আরও বাড়তে পারে। ফ্রান্সের নাগরিকত্ব মানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সুবিধা, যদিও দেশটিতে উচ্চ হারে কর পরিশোধ করতে হয়।


ইতালি
ইতালির নাগরিককে বিয়ে করলে এবং দেশটিতে দুই বছর বসবাস করলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। যদি বসবাস ইতালির বাইরে হয়, তবে এই সময়সীমা বেড়ে তিন বছর হয়। সন্তানের ক্ষেত্রে এই সময় কমে অর্ধেক হয়ে যায়। ইতালির নাগরিকত্বের মাধ্যমে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও সহজে যাওয়া যায়।


সতর্কবার্তা
যদিও বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব, তবু মনে রাখতে হবে—বিয়ে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কেবল নাগরিকত্ব পাওয়ার উদ্দেশ্যে সম্পর্ক গড়ে তুললে সেটি অনেক সময়েই স্থায়ী বা মানসিকভাবে পরিপূর্ণ হয় না। তাই সম্পর্কের ভিত হোক ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা।

১২২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
লাইফস্টাইল নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন