পতাকা পোড়ালে ১ বছরের কারাদণ্ড: নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা পোড়ানোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার এক নির্বাহী আদেশে সই করে তিনি জানান, কেউ যদি জাতীয় পতাকা পোড়ায়, তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। কোনো ধরনের আগাম মুক্তি বা শিথিলতা প্রযোজ্য হবে না।
ট্রাম্প বলেন, "যদি আপনি একটি পতাকা পোড়ান, আপনাকে এক বছরের জন্য জেলে যেতে হবে। সেটা রেকর্ডে থাকবে। তখনই পতাকা পোড়ানো বন্ধ হতে দেখবেন।"
নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি নাগরিক যদি এই কাজে লিপ্ত হয়, তার ভিসা বাতিল করে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত পতাকা পোড়ানোর বিষয়টিকে বহু আগেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে বলা হয়, জাতীয় পতাকা পোড়ানো ‘প্রতীকী বক্তব্য’ হিসেবে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর আওতায় সুরক্ষিত।
ট্রাম্প অবশ্য মনে করেন, জাতীয় পতাকা পোড়ানোর মতো ঘটনা সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং আইনবিরোধী কার্যক্রমে উসকানি দিতে পারে।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন। ‘ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিভিজুয়াল রাইটস অ্যান্ড এক্সপ্রেশন (ফায়ার)’ এক বিবৃতিতে বলেছে, "ট্রাম্প হয়তো মনে করছেন কলমের এক খোঁচায় সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বদলে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়।"
সংগঠনটি আরও জানায়, "সরকার, এমনকি প্রেসিডেন্টও, নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করতে পারেন না—এমনকি যদি সেটি আপত্তিকর বা উসকানিমূলক বলে মনে হয়।"
এছাড়া আদেশে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নিতে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে- যেমন, বিদেশি নাগরিকেরা এই কাজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন- তা এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়নি।
১২৩ বার পড়া হয়েছে