আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকটে ৭ দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ৭:০৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “দেশ এখন স্থিতিশীল, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।”
সোমবার কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সংলাপের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. ইউনূস।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ড. ইউনূস জানান, সরকার এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য বৈশ্বিক মঞ্চে আমরা নিয়মিত এই সংকট তুলে ধরছি এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছি।”
এসময় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
ড. ইউনূস রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৭ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের পরিকল্পনা থেকে সশস্ত্র হামলাকারীদের থামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ২০১৭ সালে মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশ লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিল, যদিও আমাদের সম্পদ ও সামর্থ্যে সীমাবদ্ধতা ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে, যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ না করে।”
উখিয়ার ইনানীর একটি হোটেলে ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়লগ অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক সংলাপ গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত।
প্রথম দিনের আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে— নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রায় আট বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এখন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে।
সংলাপে ১০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। রোহিঙ্গারা মুসলিম দেশগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এবং মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ জোরদারের অনুরোধ করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক। তিনি জানান, সীমান্ত রক্ষায় বাহিনী সতর্ক রয়েছে, যেন নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
১৩৭ বার পড়া হয়েছে