সর্বশেষ

সারাদেশ

সীমানা পুনর্নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা: দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ২:২৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ঘটনাকে ঘিরে রবিবার (২৪ আগস্ট) পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার সমর্থক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।

রবিবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রুমিন ফারহানার সমর্থকেরা। জেলা বিএনপির সদস্য ও সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমান মুন্সির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।

খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারফ হোসাইন, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী এবং হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

বক্তারা জানান, "রুমিন ফারহানা শুধু আমাদের এলাকার নেত্রী নন, তিনি জাতীয় নেত্রী। ঢাকায় তার ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা এ কর্মসূচি দিয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে আগামী দিনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।"

অন্যদিকে, একই দিন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা। দলটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেন, “রুমিন ফারহানা ও তার সমর্থকরা নির্বাচন কমিশনের মতো একটি গুরত্বপূর্ণ স্থানে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়েছেন। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে এবং গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রাহ্মণবিয়ার দুটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ইসির শুনানিতে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শুনানিতে রুমিন ফারহানা তিনটি ইউনিয়ন — বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর — ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেন। বিপক্ষে অবস্থান নেন এনসিপির মো. আতাউল্লাহ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসন পুনর্নির্ধারণ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, যদি না সব পক্ষ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছায়।

১৪১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন