সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

গাজা সংকট নিয়ে মেলানিয়াকে চিঠি দিলেন এরদোয়ানের স্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় শিশুদের মানবিক বিপর্যয় তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের স্ত্রী এমিনে এরদোয়ান।

চিঠিতে তিনি গাজায় শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘অন্যায়ের’ প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বান জানান মেলানিয়াকে। একইসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় শিশুদের নিয়ে যেভাবে তিনি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন, তেমনটাই ফিলিস্তিনের শিশুদের প্রতিও প্রদর্শনের অনুরোধ করেন।

গত শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়। এতে এমিনে এরদোয়ান লেখেন, “গাজা এখন শিশুদের জন্য এক বিশাল সমাধিক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর ও শক্তি এক করতে হবে।”

চিঠিতে গাজার নিহত শিশুদের ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে কাপড়ে মোড়া মরদেহ দেখার বেদনা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে গাজার মানবিক সংকট সমাধানের জন্যও মেলানিয়াকে আহ্বান জানান।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মেলানিয়া ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি চিঠি পাঠান, যেখানে তিনি শিশুদের কথা বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান। তবে কোন অঞ্চলের শিশুদের কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তা চিঠিতে পরিষ্কার করা হয়নি।

এমিনে এরদোয়ান সাধারণত পরিবেশ ও মানবিক ইস্যু নিয়ে কাজ করলেও, বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি বিশ্বনেতাদের স্ত্রীদের উদ্দেশে মানবিক বার্তা দিয়ে থাকেন। ২০১৬ সালে সিরিয়ার যুদ্ধাবস্থায়, এবং ২০২৪ সালের মার্চেও গাজা সংকট নিয়ে তিনি এমন চিঠি দিয়েছিলেন।

এই চিঠি এমন সময়ে প্রকাশ পেল, যখন গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ–সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কাজনক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আইপিসি (খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণ সংস্থা) জানিয়েছে, গাজা শহরে ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, আর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ৬ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত, এবং স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। 

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন