সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

রিমান্ডে অসুস্থ শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে আইসিইউতে

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ২:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে রিমান্ডে নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে।

শনিবার বিকেলে কলম্বোর ম্যাগাজিন কারাগার থেকে তাকে নেওয়া হয় ন্যাশনাল হাসপাতালে, যেখানে বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্রমাসিংহে রিমান্ডে থাকাকালীন মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন। কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের উপ-মহাপরিচালক ডা. রুকশান বেলানা জানান, ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিক উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং তার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়ে। তবে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এর আগে, শুক্রবার বিক্রমাসিংহেকে সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে শ্রীলঙ্কার অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়।

সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলটির মহাসচিব থালাথা আতুকোরালা অভিযোগ করেন, বর্তমান বামপন্থি সরকার বিক্রমাসিংহের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে ভয় পাচ্ছে বলেই তাকে আটকের পথ বেছে নিয়েছে।

শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দল এসজেবির সংসদ সদস্য নালিন বান্দারা শনিবার কারাগারে গিয়ে বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট বর্তমান সরকারের ‘দমননীতির’ বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার করে রনিল বিক্রমাসিংহে একটি ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন। অভিযোগে বলা হয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ শেষে তিনি লন্ডনে অবস্থান করেন, যেখানে তার স্ত্রী একটি সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সফরে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ রুপি (প্রায় ৫৫ হাজার ডলার) সরকারি অর্থ ব্যবহার করা হয়।

যদি আদালতে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তার সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড ও আত্মসাৎকৃত অর্থের তিনগুণ জরিমানা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাইয়ে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভের মুখে গোটাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করলে বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তার প্রশাসন আইএমএফ-এর কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিশ্চিত করে এবং নানা কড়াকড়ি আরোপ করে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নেয়।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে নতুন সরকার দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে দুই সাবেক মন্ত্রীকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড, পুলিশ প্রধানের অভিশংসন এবং কারা প্রধানকে দণ্ডিত করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজাপাকসে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।

 

১২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন