প্রবীণ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
একদিন নিখোঁজ থাকার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রবীণ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসবে তার পরিবার।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার জানান, “ময়নাতদন্ত শেষে বাবার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বর্তমানে আমরা মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে আছি।”
এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন তার ছেলে ঋত সরকার এবং ভাই চিররঞ্জন সরকার।
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকা-তে জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে তিনি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তিনি মোবাইল ফোন বাসায় রেখে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবার।
নিখোঁজ হওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার রাতেই রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ছেলে ঋত সরকার।
পরদিন শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গজারিয়ার বলাকির চর এলাকার মেঘনা নদীতে মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ পাঠান বলেন, “নদীতে মরদেহটি ভাসছিল। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি।”
এদিকে বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুর আগে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে তার লেখা একটি ‘খোলা চিঠি’ প্রকাশিত হয়। চিঠিটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে সংবাদমাধ্যমটির ই-মেইলে পাঠানো হয়েছিল। ‘জীবনের শেষ লেখা’ হিসেবে উল্লেখ করা ওই চিঠিতে তিনি তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের নানা ঘটনা, রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম পরিস্থিতি, পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও ক্যারিয়ার জটিলতা এবং আর্থিক সংকট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
বিভুরঞ্জন সরকারের আকস্মিক মৃত্যু ও তার লেখা চিঠি ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১৩৮ বার পড়া হয়েছে