সর্বশেষ

সারাদেশ

লোহাগাড়ায় ছাত্র-জনতার হাতে ফেনসিডিলসহ পুলিশের সোর্স আটক

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫ ৫:১৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বাজারে শতাধিক ফেনসিডিলসহ তিনজনকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় ছাত্র ও জনতা।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক তিনজনই পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগেই গুঞ্জন ছিল থানায় জব্দ করা কিছু মাদক পাচার হতে পারে। এমন খবরে চুনতি বাজার এলাকায় বিকেল থেকেই নজরদারিতে ছিলেন স্থানীয় যুবকরা। রাত দেড়টার দিকে চকলেট রঙের একটি প্রাইভেটকার বাজার এলাকায় আসলে সন্দেহভাজন হিসেবে গাড়িটি ঘিরে ফেলে জনতা। পরে ফেসবুক লাইভে গিয়ে গাড়িটি তল্লাশি করে তারা। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে শতাধিক ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় জোবাইর ইসলাম বলেন, “আমরা জানতাম মাদক পাচার হবে। তাই বিকেল ৪টা থেকেই বাজারে পাহারা দিচ্ছিলাম। রাত দেড়টার দিকে গাড়িটি এলে আমরা আটকে তল্লাশি করি এবং সেনাবাহিনীকে খবর দিই।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই সময় একটি সাদা রঙের গাড়ি পালিয়ে যায়, যেখানে লোহাগাড়া থানার এসআই কামাল উদ্দিন ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন। সেই গাড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ছিল বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে এসে তিনজনকে আটক করে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় হস্তান্তর করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

আটক তিনজন হলেন:

রমিজ উদ্দিন (লোহাগাড়া)
নাজিম উদ্দিন (লোহাগাড়া)
তাজরুল ইসলাম (কুমিল্লা)
তাদের সবাই পুলিশের সোর্স বলে নিজেরাই স্বীকার করেছেন। আটক রমিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, এসআই কামাল উদ্দিন তাদের ফেনসিডিল সরবরাহ করেন এবং তা পার্বত্য অঞ্চলের লামার আজিজনগরে পৌঁছে দিতে বলেন।


এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও এসআই কামাল উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রবিউল ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” এর বেশি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। থানার জব্দ করা মাদক পুলিশের মাধ্যমেই পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ উঠায় পুলিশের ওপর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন