তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে স্বামীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ

বৃহস্পতিবার , ২১ আগস্ট, ২০২৫ ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাড়িতে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী কামরুজ্জামান বাবলু।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাবলু জানান, কলারোয়ার বলিয়ানপুর গ্রামের আবু সিদ্দিক দফাদারের ছেলে তিনি। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক ইয়ানতির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের কারণে ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশি আইন অনুযায়ী তালাক দেন তিনি।
তালাকের প্রায় দুই বছর পর ২০২৩ সালে ইয়ানতি কলারোয়া থানায় যৌতুকের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন, যার প্রেক্ষিতে কামরুজ্জামান ১ মাস ১৫ দিন কারাভোগ করেন। পরে জামিন নিয়ে আবারও মালয়েশিয়া চলে যান।
চলতি বছরের ১৫ জুলাই দেশে ফিরে এসে নিজ বাড়িতে উঠেন বাবলু। তিনি অভিযোগ করেন, এরপর তার সাবেক স্ত্রী আবারও মিথ্যা অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন, আর ওসি সাইফুল ইসলাম তাকে থানায় ডেকে নিয়ে অপমান করেন এবং হুমকি দেন—“তুই বাড়িতে থাকতে পারবি না, ওই নারী থাকবে, তুই গেলে ধর্ষণ মামলায় পড়বি।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৬ জুলাই ওসি স্থানীয় কিছু যুবককে ব্যবহার করে ইয়ানতিকে জোর করে আমার বাড়িতে উঠিয়ে দেন। আমি এখন বাড়ি ছেড়ে পথে পথে ঘুরছি।”
বাবলুর অভিযোগ, তার সাবেক স্ত্রী ২০১৯ সালে তাকে মৃত সাজিয়ে জনৈক রঞ্জু ইসলামের সঙ্গে বিয়ে করেন, যার প্রমাণস্বরূপ নিকাহনামা ও তালাকনামা তার কাছে রয়েছে।
তিনি দাবি করেন, একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়েও তিনি পুলিশের এক কর্মকর্তার পক্ষপাতিত্বের কারণে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে ওসি সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “কেউ কাউকে বাড়িতে তুলে দেয়নি, প্রবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়।”
১৩৭ বার পড়া হয়েছে