লিবিয়া থেকে ১৭৫ বাংলাদেশির নিরাপদ প্রত্যাবর্তন

বৃহস্পতিবার , ২১ আগস্ট, ২০২৫ ৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
লিবিয়ার বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশ দূতাবাস (ত্রিপোলি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর যৌথ প্রচেষ্টায় তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
অভ্যর্থনায় আইওএম কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, এবং এ সময় অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন জানান, ফেরত আসা অভিবাসীদের প্রাথমিক কার্যক্রম ও যাচাই-বাছাইয়ের পর তারা বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
বিপদসংকুল পথে ইউরোপ যাত্রা, শেষ গন্তব্য লিবিয়া
তথ্য অনুযায়ী, দেশে ফিরে আসা অধিকাংশ বাংলাদেশিই মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর পর বহু মানুষ অপহরণ, নির্যাতন ও বন্দিত্বের শিকার হন। শেষমেশ বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক অবস্থায় ছিলেন তারা।
রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ ও সতর্কতা
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত ফেরত আসা অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভবিষ্যতে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ ও নিরাপদ পন্থা অনুসরণ করতে হবে এবং দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।” তিনি আরও আহ্বান জানান, দেশে ফিরে যেন এই অভিজ্ঞতার আলোকে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা বাড়ানো হয়। পাশাপাশি, মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ভুক্তভোগীদের সাহসী ভূমিকা রাখতে এবং প্রয়োজনে দূতাবাসের সহায়তা নিতে উৎসাহিত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএম একযোগে কাজ করে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এর আগে, বুধবার (২০ আগস্ট) দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তারা কাজ করছে।
১০৬ বার পড়া হয়েছে