সর্বশেষ

জাতীয়

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ২১ আগস্ট, ২০২৫ ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সক্রিয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

একইসঙ্গে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী তিনদিন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার অথবা এর অধিক পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর হাতিয়াসহ আশপাশের এলাকায় ঝোড়ো বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি এখনো থেমে থেমে চলছে। দমকা হাওয়ার কারণে নদী ও সমুদ্রপথ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূল এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হাতিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন জানান, “সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারগুলো কূলে ফিরে এসেছে। বৃষ্টির কারণে দোকানপাটে লোকজন নেই। অনেকেই ঘরেই অবস্থান করছেন।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ সাদ বলেন, “নদী উত্তাল থাকায় নৌচলাচল বন্ধ। ফলে এক পাড়ের মানুষ অন্য পাড়ে যেতে পারছে না। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দিনমজুররা কাজ হারিয়ে ঘরেই বসে আছেন।”

হাতিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৬টা পর্যন্ত এলাকায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নৌ-যানগুলোকে নিরাপদে উপকূলে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “হাতিয়া একটি দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যাহত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন