পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫ ৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাকিস্তানে টানা ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৬ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৯৬৫ জন।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA) জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সেনাবাহিনী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করেছে।
সর্বাধিক প্রাণহানি খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে
মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে খাইবার-পাখতুনখাওয়া (কেপি) প্রদেশে। সেখানে এককভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ৪২৭ জন।
এরপর রয়েছে—
পাঞ্জাব: ১৬৪ জন
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর: ৫৬ জন
সিন্ধ: ২৯ জন
বেলুচিস্তান: ২২ জন
ইসলামাবাদ: ৮ জন
বুনের জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ
বন্যায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে কেপির বুনের জেলায়, যেখানে এখন পর্যন্ত ২২২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে জেলার বেসোনাই গ্রাম ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটির নিচে চাপা পড়ে বহু ঘরবাড়ি। এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।
সোয়াবি, নওশেরা, মারদান ও পেশোয়ার জেলাতেও প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি বাজউর, সোয়াত, শাংলা, মানসেহরা, দির আপার ও দির লোয়ারেও বন্যার প্রভাব পড়েছে।
মেঘফাটল ও নতুন বৃষ্টিতে আরও উদ্বেগ
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বর্ষণের সঙ্গে যোগ হয় মেঘফাটল, যা ধ্বংসযজ্ঞ আরও ভয়াবহ করে তোলে। সোমবার আবারও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
কেপি প্রশাসন জানায়, প্রদেশজুড়ে প্রায় ৭৮০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৪৯টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।
সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার মানুষ
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে স্থানীয়দের নিরাপদে থাকতে ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে।
১২৮ বার পড়া হয়েছে