সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ও নিরাপত্তা নিয়ে তর্ক

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫ ২:৫১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে একত্রিত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ও ন্যাটো জোটের সাত শীর্ষ নেতারা।

এই বৈঠককে এক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই মিলে ট্রাম্পের কাছে একটি একক অভিন্ন অবস্থান তুলে ধরেন, যাতে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধান ও স্থায়ী শান্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়।

তবে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি এবং ভূখণ্ড সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্প বৈঠকের শুরুতেই দাবি করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছুক। তবে ইউরোপীয় নেতারা উদ্বিগ্ন ছিলেন যে পুতিন যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সুবিধা নিতে পারেন।

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, "রাশিয়াকে দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি করানো ফ্লোরিডার মতো একটা বড় অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার সমান কঠিন।" অন্যদিকে, ট্রাম্প ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ইতিবাচক মনোভাব দেখান, যা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিরতি বা ভূখণ্ড হারানোর দু’টি অপশনের মধ্যে আটকে না রেখে বিকল্প তৈরি করতে পারে।

তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্প কোনো চুক্তিতে রাজি হননি। মাখোঁ ও মের্ৎস তাকে চাপ দিলেও ট্রাম্প বলেন, তার অভিজ্ঞতায় অন্যান্য সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতি ছাড়া আলোচনার প্রয়োজন হয়নি। ট্রাম্প পুতিনকে শান্তি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছুক এক নেতারূপে বর্ণনা করেন এবং বৈঠকের বিরতির সময় ৪০ মিনিট ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন।

এই বৈঠকের শেষ দিকে ট্রাম্প জানান, পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের সম্মতি দিয়েছেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সেটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইউক্রেন ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ইউরোপীয় নেতারা অর্থায়ন করবেন বলে জানা গেছে।

জেলেনস্কি বৈঠকে বিশ্ব শক্তিদের সমর্থন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “এতে স্পষ্ট হয়েছে, ইউক্রেন একা নয়।”

এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিচুক্তির জন্য নতুন সম্ভাবনার সংকেত দিলেও, যুদ্ধবিরতি ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতানৈক্য বিদ্যমান থাকায় ভবিষ্যত অন্ধকার থেকেই যাচ্ছে।
 

১২৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন