চবিতে ই-কার সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু, ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথমবারের মতো পরিবেশবান্ধব ই-কার সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরোপয়েন্টে ছয়টি ই-কার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এই ই-কার সেবা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত নিশ্চিত করবে। তবে সেবার ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, "আজ থেকে আমরা ই-কার চালু করছি। আশা করি, শিক্ষার্থীরা এই সেবা ব্যবহার করে সময়মতো ক্লাসে উপস্থিত হতে পারবে। একইসঙ্গে ই-কার চালকদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।"
সেবা চালুর পরপরই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদুল হোসাইন লিখেছেন, “আমার তো মনে হচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চেয়ে সিএনজি আর রিকশাওয়ালাদের দাম বেশি। তাদের খুশি করার জন্যই কি ই-কারের অন্যায্য ভাড়া চার্ট বানানো হলো?”
অন্যদিকে ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী তাহসান বিন আজিজুল মন্তব্য করেন, “আমরা তো চক্রাকার বাসের দাবি জানিয়েছিলাম, ই-কার দিয়ে ব্যবসার দাবি করিনি। ই-কারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া ৫ টাকা হওয়া উচিত। তা না হলে এর প্রয়োজনীয়তা নেই।”
ভাড়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার জানান, “আমরা রিকশার তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী করে ই-কার ভাড়া নির্ধারণ করেছি, যাতে শিক্ষার্থীরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারে।”
সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি নিরাপদ ও স্বল্পমূল্যের যাতায়াত ব্যবস্থা। রিকশার অতিরিক্ত ভাড়া এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকায় বিকল্প হিসেবে ই-কার চালু করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “প্রাথমিকভাবে ছয়টি ই-কার চালু করা হলেও আগামী সপ্তাহে আরও চারটি যুক্ত করা হবে। এ সেবাটি যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘গ্রীন ফিউচার বাংলাদেশ’-এর সহযোগিতায়। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদেরও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এনায়েত উল্যাহ পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে চবির সমাবর্তন উপলক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে তিন দিনের জন্য ই-কার চালু করা হয়েছিল। তখন প্রশাসন জানিয়েছিল, কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে ২০টি ই-কার চালু করা হবে।
১১০ বার পড়া হয়েছে