মধুখালীতে শিশু অপহরণের পর খুন, গৃহকর্মী তুহিন গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদি গ্রামে নিখোঁজের তিন দিন পর উদ্ধার হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুর মরদেহ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে গোপালদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র তামিমের (১১) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে নিহত শিশুর বাড়ির গৃহকর্মী তুহিন শেখকে।
তামিম, স্থানীয় বাসিন্দা শামীম তালুকদারের একমাত্র ছেলে, গত ১৫ আগস্ট বিকেল ৫টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যার পর পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও কোনো সন্ধান মেলেনি। একই সময় বাড়ির কাজের লোক তুহিন শেখের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের কাছে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মধুখালী থানা পুলিশ জানায়, সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বড়গাতি গ্রাম থেকে তুহিনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন শিশু তামিমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেখানো জায়গা থেকে কোরকদী ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু তামিমকে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত তুহিন শেখ এক বছর আগে তামিমদের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন এবং সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে পুনরায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঘটনার দিন তামিমকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করেন তুহিন।
এই ঘটনায় আরও একজনকে হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নিহত শিশুর পরিবারও ঘটনার দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।
মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম নুরুজ্জামান বলেন, "শিশুটিকে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছিল এবং পরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত চলমান রয়েছে।"
১১০ বার পড়া হয়েছে