সর্বশেষ

শিক্ষা

ফেনীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী প্রতিনিধি

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফেনীর মহিপাল এলাকায় অবস্থিত কোব্বাদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে এসে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ফাতিমা আক্তার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দিতে বলেন। তিনি আশ্বাস দেন, অভিযোগ তদন্তে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে বিকল্প শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর কথাও জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ রুটিন পরিবর্তনের ফলে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক থাকলেও নিজ নিজ বিষয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে না। তারা আরও জানান, টাকা ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ২০২৫ সালের টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা আদায় করে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। ২০২৩ সালে ৯০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেওয়া হলেও তার কোনো হিসাব নেই।

তারা আরও অভিযোগ করেন, সার্টিফিকেট নিতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের ভবন ভাড়া দেওয়া হয়, স্কুলের পানির ট্যাংক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে, এমনকি লাইব্রেরির টেলিভিশনটিও তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এ কে এম জহির উদ্দিন কচি বলেন, “বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক এনটিআরসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত। সে অনুযায়ী ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নতুন শিক্ষককে দেওয়া হয়, তবে শিক্ষার্থীরা আগের শিক্ষককে চাচ্ছিল। এ নিয়েই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত। দুর্নীতির অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”

ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা কান্তা, বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন