রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নেই কোনো লিখিত নির্দেশনা

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের একাধিক দূতাবাসে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। বিষয়টি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং ছড়িয়েছে নানা গুজব।
তথ্যানুসারে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি মৌখিক নির্দেশনার ভিত্তিতে বিভিন্ন মিশন রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়েছে। তবে এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—একজন কার্যরত রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি শুধুমাত্র মৌখিক আদেশে সরানো কতটা সংগত?
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা দাবি করছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের "নির্দেশনার" আলোকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত প্রজ্ঞাপন কিংবা সরকারি আদেশ প্রকাশ করা হয়নি। ফলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
এ বিষয়ে এক উপদেষ্টার ‘আগ্রহের’ কথাও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, তবে তিনি তা সরাসরি অস্বীকার করেছেন।
রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনাটি সামনে আসার পর একাধিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, যদি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিধিসম্মত কোনো প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করত, তবে বিভ্রান্তি, গুজব ও বিতর্ক অনেকটাই এড়ানো যেত।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জানান, ‘সরকারি দপ্তরে পোর্ট্রেট ব্যবহার শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে "জিরো পোর্ট্রেট নীতি" বজায় রাখা হচ্ছে। তারপরও কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি ব্যবহার করেছে। তবে সেগুলো সরাতে কোনো লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ সীমিত হয়ে এসেছে। তাই কিছু মহল এখন ছোট ছোট বিষয়কেও অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করছে।’
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান এখনো কেন আনুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট করা হয়নি।
১১৪ বার পড়া হয়েছে